বুধবার, মার্চ ২৬, ২০২৫
- বিজ্ঞাপন -
হোম জাতীয় স্বাধীনতা সড়ক নির্মিত হলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবেঃ তাজুল

স্বাধীনতা সড়ক নির্মিত হলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবেঃ তাজুল

গ্রামীণ কৃষি ডেস্কঃ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মেহেরপুরের মুজিবনগরে স্বাধীনতা সড়কটি নির্মিত হলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে এবং দু’দেশের জনগণের মধ্যে সম্প্রীতি বাড়বে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই সড়কটি নির্মিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্ধু প্রতীম দু’দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে। পর্যটনের ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে।
তাজুল ইসলাম আজ সকালে মেহেরপুরের মুজিবনগরে মহান স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং নির্মিতব্য স্বাধীনতা সড়ক পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরো বলেন, মুজিবনগর-কোলকাতা স্বাধীনতা সড়কের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে এবং সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে স্বাধীনতা সড়কটি আগামী মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করবেন বলেও জানান তিনি।
এরপর তাজুল ইসলাম জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স সহ স্মৃতি বিজড়িত স্থান সমুহ পরিদর্শন করেন এবং মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় যোগদান করেন। সভায় স্বাধীনতা সড়কের (মুজিবনগর-কোলকাতা) ওপর একটি প্রেজেনটেশন উপস্থাপন করা হয়।
বিকেলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী লালমনিরহাটে পৌঁছে তিন বিঘা করিডোর বিজিবি এবং বিএসএফের দেওয়া গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন।
গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে তিনি দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা ছিটমহল এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় হওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সকল এলাকায় সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশ অনুযায়ী বাংলাদেশের মধ্যে পড়া সকল ছিটমহলে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ, মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল নির্মাণ সহ বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, দীর্ঘ ৬৮ বছর ধরে ছিটমহলের মানুষ যে অমানবিক কষ্ট করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা অল্প সময়ের মধ্যেই লাঘব করে দিয়েছেন।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ খান ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচ)’র প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান সহ অন্যান্য উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন তারেক রহমান

যশোরে দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান। যশোরের জেলা ও দায়রা জজ শেখ...

নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে হটলাইন চালু

নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি আক্রমণাত্মক ভঙ্গি, কটূক্তি, ইভ টিজিং, হেনস্তা ও যৌন হয়রানি বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স হটলাইন সেবা চালু...

পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি সম্প্রদায়ের স্থিতিস্থাপকতার জন্য জীববৈচিত্র্যের বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধন

পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি সম্প্রদায়ের স্থিতিস্থাপকতার জন্য জীববৈচিত্র্যের বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার সিএইসটি শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান গত ০৪ঠা মার্চ ২০২৫ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ...

মার্ক কার্নি কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হলেন। মার্ক কার্নি ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর ছিলেন। আবার...

Recent Comments