গ্রামীণ কৃষি ডেস্কঃ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন ।
তিনি আজ সকালে দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন বুঝতে পেরেছিল বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে যাচ্ছে, তখন জাতিকে পঙ্গু করার হীন উদ্দেশ্যে সেদিন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। তাই যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ইতিহাসের পাতায় এই দিনটি কালো দিন হিসেবেই থাকবে।’
‘কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পরও সেদিন যারা বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা এঁকেছিল, সেই জামায়াতে ইসলামী ও তাদের দোসর-অনুসারীরা এখনো ও বাংলাদেশে সক্রিয়’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘সেদিন যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের কাফের, ইসলামবিরোধী বলে ফতোয়া দিয়েছিল, তারাই আজকে ভাস্কর্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। জাতির স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পরও স্বাধীনতাবিরোধীদের এ ধরণের আস্ফালন মেনে নেয়া যায় না। তাই এদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদের মন্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। এজন্য আমি মহান স্রষ্টার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। কিন্তু উনি হাসপাতাল থেকে ফিরে এসেই দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে যেভাবে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন, এতে মনে হচ্ছে আসলে উনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ হন নাই। উনার আরো একটু চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।’
এর পরপরই রাজধানীর রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পুস্পস্তবকবক অর্পণ শেষে ‘এখনো দেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের আস্ফালন কেন’- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি যারা বেশ কয়েকবার রাষ্ট্র ক্ষমতা ছিল, তারা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে সহযোগিতা করছে। দলগতভাবে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী, বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা প্রণয়নকারী, আলবদর বাহিনী গঠনকারী, নারী নির্যাতনের সাথে যুক্ত জামায়াতে ইসলামীকে জোটসঙ্গী করে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার কারণেই এখনো স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি আস্ফালন করার অপচেষ্টা করে। ঐক্যবদ্ধভাবে এদের রুখতে হবে।’