গ্রামীণ কৃষি ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট লকডাউন পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া দুই হাজার পরিবারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সদরের নুরজাহান কমিউনিটি সেন্টারে শনিবার (২৪এপ্রিল) দুপুরে তথ্য মন্ত্রীর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশন এসব ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে। এসময় রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে নিজের নির্বাচনী এলাকার মানুষের সাথে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
এসময় মন্ত্রী করোনাকালে দিনমজুর, মাঝি, রিক্সা-ভ্যানচালকসহ খেটে খাওয়া নিম্মবিত্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে তার নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘গত বছর করোনা মহামারি দেখা দেয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী প্রথম দফায় ১ কোটি ২৫ লাখ পরিবারে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো হয়। আমার নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রথম দফায় ২০ হাজারের বেশি পরিবারে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হয়। এছাড়া নগদ টাকাও বিতরণ করা হয়েছিল।’ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বলেন, এক বছরের এই করোনা মহামারির সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন দল সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। বিএনপি এবং তাদের দলের নেতারা প্রথম থেকেই লোক দেখানো টুকটাক ত্রাণ বিতরণ করে ফটোসেশনে এবং সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত ছিল, এখনও তারা দরিদ্রদের পাশে না দাঁড়িয়ে সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত।
এসময় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুসারে রাঙ্গুনিয়ায় দলীয় নেতাকর্মীদেরকে স্থানীয় কৃষকদের ধানকাটায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন তথ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এনএনকে ফাউন্ডেশনের পরিচালক খালেদ মাহমুদ, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, শিলক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তালুকদার, এনএনকে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা আবদুর রউফ মাস্টার, জসিম উদ্দিন তালুকদার, এমরুল করিম রাশেদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু ও সহসভাপতি বদিউল খায়ের লিটন চৌধুরী।
রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা, পোমরা, হোছনাবাদ, মরিয়মনগর, চন্দ্রঘোনা ও স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের মোট দুই হাজার দরিদ্র পরিবারে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি ইউনিয়নে দরিদ্র পরিবার গুলোর মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয় এনএনকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে।
