গ্রামীণ কৃষি ডেস্কঃ রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা ফিসহ বেতন পরিশোধের জন্য দেওয়া নোটিশ প্রত্যাহার চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। শিক্ষা সচিব, ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান এবং মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বরাবর বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশ পাঠানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জে আর খান রবিন এ নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেতন পরিশোধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দেওয়া নোটিশ অনুযায়ী আগামী ২৮ অক্টোবর থেকে অনলাইন হোম টেস্ট-২/অনলাইন মডেল টেস্ট-১ অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য ২০ অক্টোবরের মধ্যে পরীক্ষার ফিসহ যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করে বেতন কাউন্টার থেকে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
গত ১১ অক্টোবর দেওয়া নোটিশ অনুযায়ী, পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অবশ্যই প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে। শুধুই এই নোটিশ দিয়ে থেমে থাকেনি মনিপুর স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেক অভিভাবককে মোবাইলে ফোন করা হচ্ছে বেতন পরিশোধের জন্য। স্কুল বন্ধ থাকার পরও এরইমধ্যে যেসব অভিভাবক বেতন পরিশোধ করেছেন তাদের কাছ থেকে মাসিক পানি, বিদ্যুৎ ও আইটি বিল রাখা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মহামারী করোনা একটি বিরাট সমস্যা এবং আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিও এমন ভয়াবহ ভাইরাস থেকে মুক্ত নয়। ফলে দেশের প্রায় সকল মানুষ আর্থিকসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন-ভাতা কমিয়ে দিয়েছে। কর্মী ছাটাই করেছে। এমন পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের জীবিকা নির্বাহ করাটা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার বিভিন্ন সেক্টরে প্রণোদনা দিচ্ছে। সরকার শিক্ষার উন্নয়নের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এর মধ্যেই মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় বেতন-ভাতা পরিশোধের যে নোটিশ নিয়েছে তা অমানবিক ও অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বেআইনীও বটে।
নোটিশকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট জে আর খান রবিন জানান, করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেক পেশাজীবী ও চাকরিজীবী। বিদ্যুৎ বিলসহ বিভিন্ন বিলে বিলম্ব ফি মওকুফ করা হয়েছে। ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সুদ মওকুফ করতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্তানদের মাসিক বেতন পরিশোধে নোটিশটি অমানবিক। সে কারণেই নোটিশটি দেওয়া হয়েছে।