শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
- বিজ্ঞাপন -
হোম জাতীয় বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তায় নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন ডিএমপি কমিশনার

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তায় নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন ডিএমপি কমিশনার

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ঢাকা মহানগরীর নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তৃতায়  তিনি এ সহযোগিতা চান। 

সভায় ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এছাড়াও ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন হয়ে থাকে। এই দুটি বড় উৎসবকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিএমপি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আমরা সকল নগরবাসীর কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

সমন্বয় সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস্) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। 

বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে প্রত্যেকটি চার্চে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত রাখা। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশী করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। এছাড়া নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে। চার্চ এলাকায় কোন ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেয়া হবে না। কোন প্রকার ব্যাগ নিয়ে চার্চে প্রবেশ করা যাবে না।  

অন্যদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইটে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্ট বৃদ্ধির পাশাপাশি পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হবে। কোন উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি, পটকা ও ফানুস উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। পরিচয়পত্র ছাড়া এ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। গুলশান, হাতিরঝিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া উৎসব দুটি উপলক্ষে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে সাইবার পেট্রোলিং জোরদারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মনিটরিং করা হবে।

উৎসব দুটি সুষ্ঠুভাবে উদযাপন ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বয় সভায় উপস্থিত বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, সশস্ত্র বাহিনী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, ডিপিডিসি, ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন  ও পরামর্শ দেন।

আপনার মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

লালমনিরহাটে আলু-পেঁয়াজ-সবজির বাজারে স্বস্তি

জেলার বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি, আলু ও পেঁয়াজের দামে স্বস্তি ফিরেছে। সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব পণ্যের কেজি প্রতি দাম কমেছে ২০ টাকা থেকে...

তরুণদের সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশের চিত্র পাল্টে যাবেঃ বিএনপি মহাসচিব 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তরুণ প্রজন্ম আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত। তাদের মেধা শক্তি অনেক ভালো। তরুণদের...

সোমবার ট্রাম্পের জাঁকজমকপূর্ণ প্রত্যাবর্তন

ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী সোমবার দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। ৭৮ বছর বয়সী এই রিপাবলিকান নেতা ওয়াশিংটনের ইউএস ক্যাপিটলে...

কৃষিতে নারীশ্রম, ফসলে চওড়া হাসি

অগ্রহায়ণ শেষে পৌষের আগমন। প্রকৃতিতে ইতোমধ্যে শীতের দাপট। আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের মৌসুম শেষ। এখন চলছে নানা ধরনের শাক-সবজি আর শস্য...

Recent Comments