মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৮, ২০২৫
- বিজ্ঞাপন -
হোম কৃষিপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ভূমিকায় দেশে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম সহজলভ্যঃ মৎস্য...

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ভূমিকায় দেশে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম সহজলভ্যঃ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

গ্রামীণ কৃষি ডেস্কঃ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ভূমিকায় এবং বেসরকারি খাত এগিয়ে আসায় দেশে আজ মাছ, মাংস, দুধ, ডিম সহজলভ্য হয়ে উঠেছে।’
শুক্রবার (২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দীপ্ত টেলিভিশন স্টুডিওতে ‘এসিআই দীপ্ত কৃষি অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।
এসিআই ও দীপ্ত টেলিভিশন যৌথভাবে প্রথমবারের মতো এ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দীপ্ত টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান ও এসিআই এগ্রোবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফা. হ. আনসারী।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরো বলেন, ভাতে-মাছে বাঙালির দেশে একটা সময় মাছ, মাংস দুর্লভ হয়ে গিয়েছিল। এখন গ্রামে গ্রামে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে উদ্যোক্তা তৈরী হয়েছে। ফলে অর্থনীতির চাকা সবল হয়েছে। পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মিটছে। খাবারের বড় যোগান হচ্ছে। এভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য কৃষি ও কৃষককে অবশ্যই বাঁচিয়ে রাখতে হবে। অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে এগিয়ে চলছে, সে ধারাকে উত্তরোত্তর আমাদের সমৃদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের কৃষি উপকরণ, প্রশিক্ষণসহ নানা সহায়তা দিয়েছেন এটা শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় নয়, গোটা বিশ্বের বিস্ময়।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজকাল কৃষি খাতে কেউ লজ্জা বোধ করে না। ডেইরি, পোল্ট্রি ও মৎস্য খাতে যারা জড়িত তারা গর্ববোধ করে বলে আমি একজন উদ্যোক্তা, আমি বেকার নই। আমার অর্থনীতির চাকা আমি নিজেই সচল রাখি।’
অনুষ্ঠানে কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে বেশি করে বিনিয়োগের জন্য দেশের বেসরকারি শিল্প উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কৃষির সম্ভাবনা অনেক। কৃষির উন্নয়ন হলেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। গ্রামীণ মানুষের কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ বাজার বিস্তৃতির মাধ্যমে শিল্পায়নও ত্বরান্বিত হবে।
কৃষক, খামারি, সৃজনশীল উদ্ভাবক, মেধাবী গবেষক এবং সফল কৃষি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার জন্য মোট ১০টি ক্যাটাগরিতে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ৯ ব্যক্তি ও ১ প্রতিষ্ঠান।
সেরা শস্য উৎপাদনকারী কৃষক হিসেবে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ফেনীর আবু ছায়েদ রুবেল। চট্টগ্রামের আবুল হাসান চৌধুরী সাগর সেরা গবাদি খামারি, কক্সবাজারের নয়ন সেলিনা সেরা পোলট্রি খামারি ও খুলনার মামুনুর রশিদ সেরা মৎস্য চাষি ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। সেরা সবজি চাষি ক্যাটাগরিতে হবিগঞ্জের বদু মিয়া এবং সেরা ফল বাগানি ক্যাটাগরিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মতিউর রহমান অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। বগুড়ার‘স্বপ্ন ছোঁয়া সিঁড়ি’ সমবায় সেরা সামাজিক বা সমবায় বিভাগে ও নওগাঁর জাহাঙ্গীর আলম শাহ সেরা কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বিভাগে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। এছাড়া গাইবান্ধার নজরুল ইসলাম সেরা কৃষি উদ্ভাবক ও সাভারের কোব্বাদ হোসাইন সেরা কৃষি উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

আপনার মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments