মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৪, ২০২৫
- বিজ্ঞাপন -
হোম কৃষিপেপে চাষাবাদে মাসভিত্তিক করণীয়

পেপে চাষাবাদে মাসভিত্তিক করণীয়

সরকার মো. আবুল কালাম আজাদ

🌱 জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারি

জমি নির্বাচন ও চাষ করা।

গর্ত তৈরি (গর্তের আকার ৫০×৫০×৫০ সেমি)।

গর্তে পচা গোবর/কম্পোস্ট, টিএসপি ও ছাই মিশিয়ে মাটি ভরাট।

উন্নত জাতের বীজ বপন বা চারা প্রস্তুত করা।

🌿 মার্চ–এপ্রিল

চারা ৩০–৪০ দিন বয়স হলে গর্তে রোপণ।

গাছের গোড়ায় খুঁটি দিয়ে সাপোর্ট দেওয়া।

হালকা সেচ দেওয়া।

রোগ-পোকার আক্রমণ আছে কিনা খেয়াল রাখা।

🌾 মে–জুন

বৃষ্টির কারণে গাছের গোড়ায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা।

অতিরিক্ত ডালপালা কেটে ফেলা।

টপড্রেসিং হিসেবে ইউরিয়া ও এমওপি প্রয়োগ।

ভাইরাস আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা।

☔ জুলাই–আগস্ট

ঝড় ও বৃষ্টির সময় খুঁটি দিয়ে গাছকে শক্ত করা।

জমি আগাছামুক্ত রাখা।

পাতা কুঁকড়ে যাওয়া বা মোজাইক ভাইরাস হলে আক্রান্ত পাতা তুলে ফেলা।

জৈব কীটনাশক/অনুমোদিত রাসায়নিক প্রয়োগ।

🍂 সেপ্টেম্বর–অক্টোবর

নতুন ফুল ও ফল আসতে শুরু করবে।

নিয়মিত সেচ দেওয়া।

সার ব্যবস্থাপনা অব্যাহত রাখা।

ফল ঝরে পড়া রোধে গাছের গোড়ায় খড়/পাতা দিয়ে আচ্ছাদন দেওয়া।

🍐 নভেম্বর–ডিসেম্বর

গাছে ফল বড় হতে থাকবে।

রোগ-পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা।

প্রথম দিকের ফল সংগ্রহ শুরু করা যায়।

নিয়মিত বাজারজাতকরণ করা।

👉 এভাবে সারা বছর নিয়ম মেনে কাজ করলে পেপে গাছ থেকে টানা ১৮–২৪ মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।

লেখকঃ কেন্দ্রীয় সভাপতি - বাংলাদেশ পেশাজীবী ফেডারেশন (BPF)
কৃষি লেখক ও কথক - বাংলাদেশ বেতার।

আপনার মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments