গ্রামীণ কৃষি ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন করবে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বার্ষিকীতে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন করবে আওয়ামী লীগ।’ আজ নিজের সরকারি বাসভবনে তিনি এ কথা জানান। তিনি এ সময় খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের গণতন্ত্র। গণতন্ত্র একদিনে মহীরূহে রূপান্তরিত হয়না, পার করতে হয় অনেক পথ। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে যাত্রা চলমান, তাতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
দলমত নির্বিশেষে অংশীজনদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সুরক্ষা এবং একে এগিয়ে নিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের পাশাপাশি বিরোধী দলেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র শুধু সরকারি দলের জন্য নয়। সরকার-বিরোধী সবাইকে নিয়ে গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় বিরোধী দলের দায়িত্বশীল ভূমিকা অনস্বীকার্য।
দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মনোনয়ন বোর্ড যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, তা বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংগঠনিক শৃঙ্খলার প্রতি অত্যন্ত কঠোর। ইতোমধ্যে যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহ করেছেন তারা জয়ী হলেও তাদের কোনোভাবেই মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘দলীয় সভাপতির নির্দেশনা প্রতিপালনে সবাইকে ঐকবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। যে সকল নেতা বা জনপ্রতিনিধি দলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাধা বা উসকানি দেবে তাদের বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের উত্তরাঞ্চলে ইতোমধ্যেই শীত জেঁকে বসেছে। আবহাওয়াবিদগণ জানিয়েছেন যে, শিগগিরই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। তাই এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকা আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।’