আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শুক্রবার ঘোষণা দিয়েছেন তার দেশের বর্ষিক কার্বন ট্যাক্স ২০২২ সালের পর থেকে টন প্রতি ১৫ কানাডিয়ান ডলার (১২ মার্কিন ডলার) বাড়াবে। সেই সঙ্গে জলবায়ুর লক্ষ্যকে জয় করার উদ্দেশে নতুন করে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথাও ব্যক্ত করেন তিনি। খবর এএফপি’র।
ইতোমধ্যেই গত বছর কার্বন দূষণের মূল্যমান ২০২২ সালে ক্রমবর্ধমানভাবে টন প্রতি ৫০কানাডিয়ান ডলারে উন্নীত হওয়ার কথা রয়েছে।
ট্রুডো বলেন, ২০২২ সালের পর থেকে সংশোধিত জলবায়ু পরিকল্পনার আওতায় বার্ষিক কর বৃদ্ধি ১০ ক্যানাডিয়ান ডলার থেকে ১৫ কানাডিয়ার ডলারে উন্নীত হতে পারে।
২০৩০ সালের মধ্যে দাম টন প্রতি ১৭০ কানাডিয়ান ডলারে পৌঁছাতে হলে এখন থেকে টন প্রতি ৩০ কানাডিয়ান ডলার বাড়ানোই যথেষ্ট।
ট্রুডো বলেন,“দূষিত গ্রহের বিরুদ্ধে কোনো ভ্যাকসিন নেই। তবে দূষণের যথাযথ মূল্য প্রদান আমাদের কর্মকান্ডের উপর নির্ভর করে।”
সরকারের জলবায়ু সংক্রান্ত আপডেট পরিকল্পনায় ৬৪ টি নতুন ব্যবস্থা রয়েছে এবং শক্তি দক্ষতা পুনরদ্ধার, ট্রানজিট এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ানো, পাশাপাশি কানাডার বৈদ্যুতিক গ্রিড আধুনিকীকরণে ১৫ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার বিনিয়োগ হতে পারে।
কানাডা প্যারিস চুক্তির আওতায় সিও ২ নির্গমনকে ২০৩০ সালের মধ্যে ২০০৫-সালের লেভেলের ৩০ শতাংশ নিচে হ্রাস করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এক ব্রিফিং ডকুমেন্টে, সরকার জানায় “কানাডা ২০৩০ সালের মধ্যে ২০০৫ এর চেয়ে ৩২ থেকে ৪০ শতাংশের নীচে হ্রাস করতে পারবে বলে বিশ^াস করে।”
ট্রুডোর সরকার বৃহস্পতিবার এক খসড়া আইন উন্মোচন তুলে ধরে। এতে বলা হয় ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটি কার্বন নিরপেক্ষ হতে দেবে, তবে বিরোধীরা এই উদ্যোগকে “স্মোক এন্ড মিররস” বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।