কর্মমুখী ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাড়ে ১২ হাজারের বেশি পদে জনবল নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। টেকনিক্যাল কলেজ ও পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানে এই নিয়োগ হবে তিন অর্থবছরে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরে ২০০৬ সালের পর থেকে ক্যাডার সার্ভিসে কোনো নিয়োগ হয়নি। ২০১৬ সাল থেকে সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। বেসরকারি খাতে চাকরির বাজারে অভিজ্ঞতার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়ছে।
জানা গেছে, এ বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েই এবার কারিগরি শিক্ষা খাতে ১ হাজার ৬১টি ক্যাডার পদ সৃষ্টির সুপারিশ করা হবে। এরমধ্যে স্থায়ী ক্যাডার পদের মধ্যে ২০ জন উপাধ্যক্ষ ( জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এ গ্রেড-৫), ১৬৯ জন চিফ ইনস্ট্রাক্টর ( টেকনিক্যাল, গ্রেড-৬), ৫৭ চিফ ইনস্ট্রাক্টর ( নন টেকনিক্যাল, গ্রেড-৬), ৫১০ জন ইনস্ট্রাক্টর (টেকনিক্যাল, গ্রেড- ৯) এবং ৩০৫ জন ইনস্ট্রাক্টর ( নন টেকনিক্যাল, গ্রেড- ৯)।
এছাড়া ১১ হাজার ৫৪৬ টি নন ক্যাডার পদসহ মোট ১২ হাজার ৬০৭টি পদ সৃষ্টির সরকারি আদেশ জারির জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া শেষ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, আমরা ১২ হাজার ৬০৭টি পদে অনুমোদন পেয়েছি সরকার থেকে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদিত হয়ে এলে দ্রুতই আদেশ জারি করা হবে। দীর্ঘদিন এক তৃতীয়াংশ জনবল দিয়ে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোনো রকমে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছিল।
সচিব জানান, এসব পদে একই অর্থবছরে নিয়োগ হবেনা। পিএসসির মাধ্যমে হবে ক্যাডার নিয়োগ। আর পদগুলো আমাদের কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক নিয়োগ করা হয়, সে নিয়োগের প্রক্রিয়া নভেম্বর থেকে শুরু হবে। এছাড়াও যে ১০০ টেকনিক্যাল কলেজ আছে সেখানেও ৬ হাজার ৪০০ পদ সৃষ্টি হয়েছে। সে আবেদনের ভেটিং হয়ে এলে নিয়োগ শুরু হবে।
সূত্রে জানা যায়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে ১১৩টি সরকারি প্রতিষ্ঠান ৪৯ টি পলিটেকনিক এবং ৬৪টি ট্যাকনিক্যাল কলেজের তীব্র জনবল সংকট সমাধান করার লক্ষ্যেই এই বিশাল সংখ্যক নিয়োগের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এর আগে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৩ হাজার ৭২টি পদ তৈরির প্রস্তাব অনুমোদন করে। পরে অর্থ বিভাগ রাজস্ব খাতে ১২ হাজার ৬০৭টি পদ সৃষ্টিতে সম্মত হয়।