মনিরুল ইসলাম তামিমঃ ধরুন, দুপুরে খাওয়া শেষে একটাই ডিম রয়ে গেছে। রাতে খাওয়ার সময় ডিম টা কাকে দিবেন?
পরিবারে শুধু আপনারা দুজন আর ফুটফুটে এক সন্তান। কমন যে চিত্রটি আমরা দেখতে পাই রাতে খাওয়ার সময় বাচ্চাকে পুরো ডিমটাই দিয়ে দেয়। আর বাবা মা দুজন ড্যাব ড্যাব চোখে শুধু তাকিয়ে থাকবে আর তার খাওয়া দেখে মনটা ভরে যাবে। আহ কি শান্তি!!!
আসলে যা করা দরকার ছিলো রাতে তিনজন ই একসাথে খেতে বসব। তার সামনেই ডিম টা সমান তিন ভাগে ভাগ করব। আর তিন জনেই তিন টুকরা খেয়ে নিব।
বিশ্বাস করুন, এই ক্ষেত্রে বাচ্চার আস্ত ডিম টা খাওয়ার কোন ফায়দা নাই। বরং তার ব্রেইনে একটা ভুল মেসেজ আজীবনের জন্য সেট হয়ে যাবে। অথচ, তিন টুকরা ডিম তাকে শেখাবে কিভাবে অল্প জিনিস ও সবার সাথে ভাগ করে খেতে হয়। তার অপজিটে থাকা মানুষ রা খেয়েছে কিনা সেই ব্যপারে খেয়াল রাখার মানসিকতা জাগ্রত হয়।
আর এই মেসেজ টি আজীবন তার ব্রেইনে খোদাই থাকবে। এটা একেবারে ছোট্ট বেলা থেকেই করা উচিত। বাচ্চা তার বয়স অনুযায়ী যতটুকু বোঝার ঠিকই বুঝবে। বাচ্চারা তাদের মত করে সবই বুঝে। ট্রিক্স টা কাজে লাগালেই দেখবেন, তাকে কিছু খেতে দিলে আগে আপনার হাতে দেখবে তার আম্মুর ভাগ টা আছে কিনা? আবার, বাবার ভাগ টাও রেখে দিবে।
বর্তমান সময়ে অনেক বাচ্চাদের দেখা যায় সবকিছুই নিজের করে পেতে চায়, তার-ই ভাই বা বোন সে পেলো কিনা সেদিকে খেয়াল ই রাখেনা। দাদু, চাচা, বাবা, যে যা-ই আনুক না কেন সবই তার চাই।
**মতামতের জন্য সম্পাদক / প্রকাশক দায়ী নয়।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন।আনন্দ-বেদনায়,সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়।আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখতে পারেন গ্রামীণ কৃষিতে। আজই পাঠিয়ে দিন - grameenkrishi2016@gmail.com