গ্রামীণ কৃষি ডেস্কঃ রোববার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান (H.E. Mustafa Osman Turan) আজ দুপুরে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি’র সঙ্গে তাঁর সচিবালয়স্থ দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন।সাক্ষাতে বন্ধুপ্রতিম দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধিসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে তুরস্কের সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।সংস্কতি প্রতিমন্ত্রী ২০১৯ সালের ১৯-২০ নভেম্বর তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বাংলাদেশ ও তুরস্কের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন (জেইসি) এর পঞ্চম অধিবেশনে দু’দেশের সংস্কৃতি ও পর্যটন খাতে সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রস্তাবনাসমূহ বাস্তবায়নে তুরস্কের সহযোগিতা কামনা করেন। সে অধিবেশনে বাংলাদেশ এর পক্ষ হতে যেসব প্রস্তাবনাসমূহ পেশ করা হয়েছিল, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পারস্পরিক অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক বইমেলা আয়োজন, সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধি, স্থাপত্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক সংরক্ষণে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রসার, পেইন্টিং, হস্তশিল্প, বই ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী ক্ষেত্রে পারস্পরিক বিনিময় প্রভৃতি।তুরস্কের রাষ্ট্রদূত যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনে গৃহীত প্রস্তাবনাসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি বলেন, তুরস্কের জনগণ বাংলাদেশ সম্পর্কে আগ্রহী ও উৎসুক। সেজন্য আমরা পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন নতুন দ্বার উন্মোচন করতে চাই। তিনি বলেন, তুরস্কে ‘ইউনুস এম্রে’ (Yunus Emre) নামক সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট রয়েছে যা সারাবিশ্বে তুরস্কের সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে। মুস্তফা ওসমান তুরান বলেন, বাংলাদেশে তুরস্কের টিভি সিরিজ খুবই জনপ্রিয়। সেজন্য কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি তুরস্কের জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশে তুরস্ক-বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সপ্তাহ উৎসব আয়োজনের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। ইউনেস্কো’র সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় তুরস্কের ২০টি পরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করতে পারে।সাক্ষাৎকালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য-১) ফাহিমুল ইসলাম, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম ও সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন নাহার উপস্থিত ছিলেন।