নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিন উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগ। রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা বিশিষ্ট কৃষি লেখক সরকার মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর সাথে নরপিশাচরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল। সেই দিনের অবুঝ শিশু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদরের ছোট ভাই শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিন আজ। ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমণ্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। খুনিরা তাঁকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। আগস্টের হত্যাকান্ডে জড়িত অপরাধী যারা এখনো বিদেশ পালিয়ে আছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করা এখন সময়ের দাবি।
বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও পশ্চিম এর উদ্যোগে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেল এর ৫৭ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার মিরপুরে আজ রোববার (১৮ অক্টোবর) বিকালে করোনাকালীন সময়ে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সরকার মো. আবুল কালাম আজাদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরকার মো. আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন,আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ,শিশুদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে প্রেরণা হিসেবে কাজ করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বলেই দেশ উন্নয়নের কাঙ্খিত পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তরুণ সমাজসহ নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করে গড়ে তুলতে হবে। সামাজিক বিপর্যয় রোধে ও মানবিক গুণাবলী বিকাশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কোন বিকল্প নেই।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শেখ জামাল আহমেদ বলেন, অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্ত্বায় পরিণত হয়েছে। মানবিক চেতনা সম্পন্ন মানুষরা শেখ রাসেলের বিয়োগ দুঃখ বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফুটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. শাহ আলম ; কেন্দ্রীয় অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও গ্রামীণ কৃষি পত্রিকার সম্পাদক সাবেক মেরিন ছাত্রলীগ নেতা এস এম আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল লতিফ।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোশারফ হোসেন পাপ্পু, কেন্দ্রীয় নেতা মো. হানিফ, কেন্দ্রীয় নেতা মো. মইনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা মহানগর পশ্চিম এর সভাপতি শেখ জামাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা বিভাগের সহ -সভাপতি শেখ অলী, ঢাকা মহানগর উত্তর সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর আলাউদ্দিন বাপ্পী, কেন্দ্রীয় নেতা সাংবাদিক এস এম জীবন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর এর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা হাজ্বী তারিকুল ইসলাম তরু। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব মো. নজরুল ইসলাম সরকার। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সংগঠন এর ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ ক্বারী মাওলানা মো.আমির হোসেন।
সভায় সংগঠন এর পল্লবী, রুপনগর, মিরপুর, কাফরুল, দারুসসালাম থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ধন্যবাদ