বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
- বিজ্ঞাপন -
হোম জাতীয় রোহিঙ্গাদের সফল ও টেকসই প্রত্যাবাসনে দক্ষিণ কোরিয়ার সমর্থন কামনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

রোহিঙ্গাদের সফল ও টেকসই প্রত্যাবাসনে দক্ষিণ কোরিয়ার সমর্থন কামনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

গ্রামীণ কৃষি ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার অব্যাহত সমর্থন কামনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে অব্যাহত সমর্থন চাইছি,’ বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার (রিপাবলিক অব কোরিয়া) নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কুয়েন আজ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
উত্তরে রাষ্ট্রদূত লি আশ্বাস দিয়েছেন যে, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে তাঁর সরকার বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’
বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তাঁর সরকারের ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিশেষত হাইটেক পার্কগুলোতে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশের সুযোগ নিয়ে বড় আকারে বিনিয়োগ করতে পারে।’
উত্তরে রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কুয়েন আইসিটি এবং ইলেকট্রনিক্সে বাংলাদেশের সাথে চলমান সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘কোরিয়ান ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’
‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে (আইসিটি) বাংলাদেশের ভবিষ্যত,’ আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রদূত বলেন যে, তাঁর সরকার ইতোমধ্যে আইসিটি বিভাগের সাথে আইটি ব্যবসা শুরু করতে এবং এখানে আইসিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ কর্মসূচিতে কাজ করছে।
লি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনের গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমকপ্রদ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন যে,‘ কোভিড -১৯ মহামারী চলাকালীন সময়েও বাংলাদেশ তাঁর প্রবৃদ্ধির হার পাঁচ শতাংশের উপরে বজায় রেখেছে, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ।’
‘বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অভিযাত্রায় তাঁর সরকারও অংশীদার হতে চায়,’ যোগ করেন তিনি।
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দায়িত্ব পালনকালে তাঁকে সবরকম সহযোগিতার আশ^াস দেন।
উত্তরে, দুই দেশের মধ্যে বিম্যমান সম্পর্কের আরো উত্তোরণ ঘটানোই তাঁর অগ্রাধিকার বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।
সমগ্র জাতি যখন তাঁদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন করছেন ঠিক এমন একটি সময়ে তিনি বাংলাদেশে আসাতে আনন্দ ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

বিজয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়াপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান  তারেক রহমানকে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির...

ভারসাম্য, ক্ষমতায়ন এবং উদ্ভাবনী শক্তিতে পার্বত্যবাসীকে আরও বেশি পারদর্শী হতে হবেঃ উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) জনাব সুপদ্রীপ চাকমা বলেছেন, পরিবেশ সুরক্ষায় ৪০ শতাংশ অক্সিজেন পাওয়া যায় পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা থেকে।...

আজ শুরু হচ্ছে ১১তম বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সামরিক সংলাপ

১১তম বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সামরিক সংলাপ আজ ১১ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে শুরু হচ্ছে। সংলাপটি ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ...

গণমাধ্যমকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হবেঃ সংস্কার কমিশন 

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে জনগণের স্বার্থে কাজ...

Recent Comments