গ্রামীণ কৃষি ডেস্কঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের রাজনীতিতে নৈরাজ্য, হত্যা ও সন্ত্রাসের চর্চা বিএনপি জন্মলগ্নথেকেই করে আসছে।
আজ বুধবার সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
‘দেশে আগ্রাসী শক্তি আঘাত হানছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, আগ্রাসী শক্তি বলতে তিনি কি বুঝিয়েছে? বিএনপির রাজনীতিতে হতাশা আর ব্যর্থতা এতটাই ভর করেছে যে, এখন তারা আর মিথ্যাচার ছাড়া স্বাভাবিক কিছু বলতে পারে না।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন না করে তৈরি করেছে বিভেদ আর অবিশ্বাসের দেয়াল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এদেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি নিজের অস্তিত্বের মতো উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন,যে দলের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা এসেছে, তাদের হাতেই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ, অন্য কোন দলের হাতে নয়।
দেশের স্বাধীনতা নাকি বিপন্ন ফখরুল ইসলামের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের স্বাধীনতা নয়, অপরাজনীতির জন্য বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বিপন্ন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে দেশের ইমেজ নষ্ট করছে,দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির অপচেষ্টার পাশাপাশি বিদেশে অবস্থানকারী লাখ লাখ প্রাবাসি কর্মীর কর্মসংস্থানকেও অস্থিতিশীল করে তুলছে।
বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে নিয়ে যারা রাজনীতি করেন, তারা স্বাধীনতা রক্ষা করবে কিভাবে? জন্মলগ্ন থেকে বিএনপি মানুষের অধিকার হরনের রাজনীতি করে আসছে, তাই তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার কথা জনগণ বিশ্বাস করে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবারো হুশিয়ারি উচ্চারন করে বলেন, আগুন সন্ত্রাসসহ নৈরাজ্যের সাথে যারাই জড়িত, তাদের কোন ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। যারা স্পটে গিয়ে বাসে আগুন দিয়েছে, তাদের অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে এবং যারা ঘটনাস্থলে ছিলো না তাদেও গ্রেফতারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর আশঙ্কা এবং পূর্বাভাস নিয়ে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করার আহবান জানান। একই সাথে তিনি সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে জনগণের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালানোরও আহবান জানান।