এস এম আশরাফুল আলম
বাসক গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম। প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে বাসক পরিচিত। বৈজ্ঞানিক নাম-Adhatoda zeylanica (ACANTHACEAE) Malabar nut রাজনি ঘন্টুকাররা বাসক’কে বহু নামে বিভূষিত করেছেন যেমন- সিংহমুখী, ভিষঙ্মতা, বসাদনী, কন্ঠীরবী, বৃষ, শিতপর্ণী, বাজিদন্তা, পঞ্চমূখী, মৃগেন্দ্রানী ইত্যাদি।
প্রাচ্য ও প্রাতীচ্য উভয় মহাদেশেই এর বেশ নাম ডাক রয়েছে। কবিরাজের নথিপত্রে কটুতিক্তরস, শীতবীর্য, কামনানাশক এবং রক্তপিত্তনাশক জ্বর, শ্বাস ও ক্ষয়কাসনাশক। নব্যের সমীক্ষায় দেখা যায় বাসকের পাতায় আছে কুইনাজোলিম অ্যালকালয়েড্স, ভ্যাসিকোলিন, এসোটডিন, ভিটামিন সি। এইসব রাসায়নিক পদার্থের জন্য শ্বাসনালি সংক্রান্ত রোগে বাসকের পাতার রস বিশেষ উপকারী।
এই গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদটি চার থেকে আট ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। এর পরিবারের অন্যদের মতো ফুল ফুটে থাকে থরে থরে পুষ্প-স্তবকের মধ্যে। ফুলের রঙ সাদা হলেও গোলাপি শিরার ছাপ আছে। ভারত-বাংলা উপমহাদেশের প্রায় সর্বত্রই বাসকের দেখা মেলে। তবে বাংলাদেশের বাড়ির ভিটায়, ছায়াছন্ন জায়গাতেই অনেক বেশি এই গাছ দেখা যায়। অনেক সময় বাসক গাছের সারি বাড়ির বেড়া হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।