বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
- বিজ্ঞাপন -
হোম জাতীয় পদ্মা সেতু দৃশ্যমান ৫ হাজার ১০০ মিটার,৩৪তম স্প্যান বসেছে

পদ্মা সেতু দৃশ্যমান ৫ হাজার ১০০ মিটার,৩৪তম স্প্যান বসেছে

গ্রামীণ কৃষি ডেস্কঃ মাত্র ছয় দিনের ব্যবধানে বসে গেছে পদ্মা সেতুর ৩৪তম স্প্যান। আজ রোববার (২৫ অক্টোবর) সকালে ‘২এ’ নামের এই স্প্যানটি মাওয়া প্রান্তের ৭ ও ৮ নম্বর খুঁটির ওপর সফলভাবে স্থাপন করা হয়েছে। এতে করে সেতুর ৫ হাজার ১শ’ মিটার দৃশ্যমান হলো।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, শনিবার বিকেল ৪টায় মাওয়ার কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বিশেষায়িত ক্রেন ‘তিয়ান ই’ স্প্যান নিয়ে নির্ধারিত পিলারের দিকে রওয়ানা হয়। প্রায় ২ কিলোমটার পথ পাড়ি দিয়ে মাঝ নদীতে ৭ ও ৮ নম্বর পিলারের কাছে যখন ক্রেনটি পৌঁছে, ততক্ষণে দিনের আলো শেষ প্রায়।আলোর স্বল্পতার জন্য সে সময়ে স্প্যানটি স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। ভাসমান স্প্যানবাহী জাহাজটি ৭ ও ৮ নম্বর খুঁটির কাছে নোঙ্গর করা হয়। আজ সকাল থেকে স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়। পরে স্প্যানটি যথাস্থানে প্রেস করে ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে বসিয়ে দেয়া হয় খুঁটির ওপর।
৩৩তম স্প্যান বসানোর মাত্র ৬ দিনের মাথায় আজ বসানো হলো ৩৪তম স্প্যানটি। এর আগে গত ১৯ অক্টোবর ৩ ও ৪ নম্বর খুঁটির ওপর ৩৩ নম্বর স্প্যানটি এবং ১১ অক্টোবর ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির ওপর ৩২ তম স্প্যানটি স্থাপন করা হয়। চলতি মাসে এ পর্যন্ত তিনটি স্প্যান খুঁটির ওপর স্থাপন করা হলো। আগামী ৩০ অক্টোবর মাওয়ায় পদ্মা তীরে ২ ও ৩ নম্বর খুঁটির ওপর ৩৫তম স্প্যান স্থাপন করার কথা রয়েছে। অপর ৬টি স্প্যান এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সবগুলো স্প্যান খুঁটির ওপর উঠে যাবে।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল পদ্মা সেতুতে মোট ৪২টি খুঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ২১টি ও জাজিরা প্রান্তে ২১টি। আর এই ৪২টি খুঁটির ওপর স্প্যান বসবে ৪১টি।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হলো ৩৩টি স্প্যান। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি খুঁটি এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। বহুমুখী এ সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ২০২১ সালেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

আপনার মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

বিজয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়াপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান  তারেক রহমানকে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির...

ভারসাম্য, ক্ষমতায়ন এবং উদ্ভাবনী শক্তিতে পার্বত্যবাসীকে আরও বেশি পারদর্শী হতে হবেঃ উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) জনাব সুপদ্রীপ চাকমা বলেছেন, পরিবেশ সুরক্ষায় ৪০ শতাংশ অক্সিজেন পাওয়া যায় পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা থেকে।...

আজ শুরু হচ্ছে ১১তম বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সামরিক সংলাপ

১১তম বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সামরিক সংলাপ আজ ১১ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে শুরু হচ্ছে। সংলাপটি ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ...

গণমাধ্যমকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হবেঃ সংস্কার কমিশন 

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে জনগণের স্বার্থে কাজ...

Recent Comments