সমাজের মধ্যেই বেড়ে উঠা, সমাজের রিপু, ভন্ড, ভন্ডামি, কুশিক্ষিত, অশিক্ষিত, মদ, জুয়া, নেশাখোর, চোর, ঘুশ, ঘুশখোর, দূর্নীতিবাজ, লোভী, স্বার্থপর, অশিক্ষা, কুশিক্ষা, মিথ্যাচার, মিথ্যাচারিতা, চামচা, আর চামচামি, কৃতজ্ঞতা আর অকৃতজ্ঞ, কুশিলব, মতলববাজ, মোনাফেক, স্বার্থপর, কুলঙ্গার, এত গুলো শব্দে পরিপূর্ণ বাংলাভাষা, বাঙ্গালীরা সানন্দে, স্বদর্পে, ব্যবহার করতে পারে, নিসংকোচে।
কারন বাংলাভাষা যথেষ্ট সমৃদ্ধশালী এ দেশের মাটিতে আমরা, যারা বাংলায় বা ইংরেজি ভাষায় লেখা পড়া করি তাদেরকে ধর্মীয় ভাবে, ধর্ম শিক্ষায় শিক্ষিতজনরা, আলেম সমাজ পছন্দ করেন না। তারা আল্লাহর নামে আামাদেরকে তুচ্ছ, তাচ্ছিল্য, অবজ্ঞা, অবহেলা করেন,আবার আামাদের দান অনুদানেই তাদের জীবন চলে। তেনারা আামাদের আল্লাহর নামে, আখেরী নবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) (আঃ) নামে মানুষজনকে জ্ঞান দেয়, বেহেস্তে যাবার পথ দেখায়।
মানুষের কল্যানে মসজিদ মাদ্রাসা নির্মানের কথা বলেন। সকল প্রসংশা আল্লাহর বলে, কিন্তু মসজিদে মসজিদ কমিটির নেতাদের প্রশংসা ও শুনি মাঝে মাঝে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ৫৬০ টা মসজিদ নির্মানের জন্য প্রসংশা করেছেন কিনা জানিনা, ওর দরকার নাই ও প্রসঙ্গে না যাই। আমরা, এদেশের ৯০% মুসলমানরা অন্ততঃ সপ্তাহে একদিন হলেও শুক্র বার মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করি। ধর্মের নামে কত কথা শুনি ইসলামি দল বলতে “বাংলাদেশ ইসলাম প্রচার পরিষদ ” হেফাজতে ইসলাম, জামায়েত ইসলাম, নেজামে ইসলাম, সিয়া, সুন্নী, আহলে হাদিস, হরকাতুল জেহাদ, আমার নাম না জানা অনেক ইসলামি দল, সংগঠন আছে যারা, ধর্মের নামে ১৬/১৭ কোটি মানুষকে ধর্ম শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ব্যস্ত।কেউ কি বলতে পারবেন। উপরোক্ত শব্দ সমূহের লোকজনদের নিকট হতে আামাদের হুজুরেরা , মসজিদের উন্নয়নের নামে, ঐ সমস্ত মানুসকে চিহ্নিত করিয়া তাদের নিকট হইতে দান খয়রাত নিতে হুজুরেরা বারন করেছেন। বা নেয় নাই। বা নিবে না বলে সরাসরি তাদেরকে মসজিদে প্রবেশে বারন করেছেন। এই ধর্মীয় গোষ্ঠীর নামধারী রাজনীতিবিদ, কিম্বা আলেমরা বা, আমারদেশের আলেমসমাজ, এদের বিরুদ্ধে কোনদিন কোন মিছিল, কিম্বা, মিটিংএ জোড়ালো প্রতিবাদ করেছেন।
ঐতাহাসিক এমন কোন ফতোয়া দিয়াছেন তাদের সংস্পর্শে না যাওয়ার জন্য জোড়ালো ভাবে বারন করেছে।না কি কোন আন্দোলনের ডাক দিয়াছে?যাতে সমাজে এই সমস্ত লোকজন সরবে, নির্বিঘ্নে, অবাদে, চলাচল করতে না পারে, বিচরনে যেন তারা প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হয়। সমাজ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে! তাহ’লে আমি কি বুঝব কি বলব, কাকে বলব কার কাছে, যাব সমাজ পরিবর্তনের নসিহত শুনতে। এ জন্য বলি ধর্ম রাষ্ট্র এক নয়, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, আমার নবীও ধর্মীয় রা্ষ্ট্রের কায়েম করেছন বলে আমার জানা নাই। সেখানে ও বিধর্মীরা নিরাপদে বসবাস করার অধিকার সংরক্ষন করতেন।
ইসলাম ধর্ম মানুষের কল্যানের জন্য, যে কারনে প্রতিদিন প্রতি আজানের সময় বলা আস নামাজের জন্য আস, আস কল্যানের জন্য আস। অনেক কথা বললাম ভুল সুদ্ধ জানিনা তবে আত্মবিশ্বাস থেকে, নিজ শিক্ষাকে পুঁজি করে বলা।
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা এই করোনা কালে তুমি আামাদের ক্ষমা করে,সৎপথে, সহজ পথে তোমার নামে তোমারই দেখানো পথে মরতে দাও। স্বস্তি দাও, শান্তি দাও। অন্যায়কে অন্যায় বলার সাহস দাও।
[লেখকঃ এড. এস এম নজরুল ইসলাম, ডেপুটি এর্টনী জেনারেল বাংলাদেশ’র ফেসবুক ওয়াল থেকে সংগৃহীত]
**মতামতের জন্য সম্পাদক / প্রকাশক দায়ী নয়।