গ্রামীণ কৃষি ডেস্কঃ দেশে টিকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী, সম্মুখ সারীর কর্মী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী, বয়োজ্যেষ্ঠ ও দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠী, শিক্ষা এবং গণপরিবহন কর্মীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের প্রস্তুতি ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে অগ্রাধিকার প্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রনয়ন ও টিকা প্রদানে জাতীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বলা হয়, টিকার পর্যায়ভিত্তিক প্রাপ্যতা বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীসমূহ অগ্রাধিকার পাবে।
করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহার পরিকল্পনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি পাওয়ার পয়েন্ট পেজেন্টেশন সভায় উপস্থাপন করে। বাংলাদেশ সরকার, সিরাম ইনস্টিটিউট ইন্ডিয়া ও বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিঃ এর মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ এর তিন কোটি ডোজ টিকা ক্রয় করবে। এই টিকাটি দুই থেকে আট ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণযোগ্য, যা বাংলাদেশে বিদ্যমান রয়েছে। প্রথম ডোজ নেয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালিক। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সকল জনগোষ্ঠী পর্যায়ক্রমে করোনা ভ্যাকসিনের টিকা পাবে। বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক উল্লেখ করেন, বিশ্বের যে ১৭টি দেশ অগ্রাধিকারভিত্তিতে করোনার টিকা পাচ্ছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব ও মহাপরিচালক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণও সভায় উপস্থিত ছিলেন।