সাভার প্রতিনিধিঃ আজ শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা জেলা উত্তর বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগ অন্তর্গত সাভার পৌর কমিটির ৯ নং ওয়ার্ড কর্তৃক আয়োজিত জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও তবারক বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা বিশিষ্ট কৃষি লেখক সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ।
প্রধান অতিথি সরকার মো. আবুল কালাম আজাদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় এই দিনটি।বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করা সম্ভব। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে বাংলাদেশর বিস্ময়কর উন্নতি হয়েছে। বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতীয় চার নেতার রাজনৈতিক, সাংগঠনিক, সামাজিক ও কর্মময় জীবনের ওপর আলোকপাত করে বলেন, সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সদ্য স্বাধীন দেশকে নেতৃত্বশূন্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা জাতীয় চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
সরকার আজাদ আরও বলেন, ১৫ আগস্ট, ৩রা নভেম্বর এবং ২১ শে আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা। বিচার বিভাগীয় কমিশনের গঠনের মাধ্যমে এসব হত্যাকান্ডের নেপথ্য নায়কদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাহলেই এসব জঘন্যতম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।
প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠন এর ঢাকা বিভাগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নুর ইসলাম।
আলোচনায় অংশ নেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কৃষিবিদ হাসান রুহি, কেন্দ্রীয় নেতা মো. হানিফ, ঢাকা বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল মিয়া, ঢাকা জেলা বঙ্গবন্ধু এর আহবায়ক মো. সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা জেলা দক্ষিণ এর আহবায়ক মো. কবির হোসেন, ঢাকা জেলা দক্ষিণ এর যুগ্ম আহবায়ক মো. ইমারত ঢালী, সাভার পৌর কমিটির সভাপতি মো. সবুজ চৌধুরী, সাভার পৌর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মো. জুলহাস শিকদার, ঢাকা জেলা উত্তর মহিলা আওয়ামী লীগ সদস্য ঝর্না আক্তার ও নাছিমা খাতুন।
অলোচনা শেষে স্হানীয় মসজিদের পেশ ইমাম ১৫ আগষ্ট ও ৩ নভেম্বর শাহাদাৎ বরণকারী বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। এই করোনা মহামারীতে যাঁরা মৃত্যু বরণ করেছেন তাদের জন্য এবং যারা অসুস্থ আছেন তাদের রোগমুক্তি সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্রাট খান রাব্বী। অনুষ্ঠানে প্রায় চার শতাধিক ব্যক্তিকে তবারক প্রদান করা হয়।