গ্রামীণ কৃষি ডেস্কঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করার যে দায়িত্ব নেয়া হয়েছে তা একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ ও গুরুদায়িত্ব।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩২ বছর পর ঢাকা শহরের সকল খাল-জলাশয়ের দায়িত্ব নিয়েছি। এটি একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে এটি আমাদের ওপর গুরুদায়িত্ব। সেলক্ষ্যে ১ ডিসেম্বর থেকেই আমাদের কার্যক্রম আরম্ভ করেছি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ১১টি খাল পুনরুদ্ধার, বর্জ্য দ্বারা যেগুলো বদ্ধ হয়ে গেছে সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ সেখানে নান্দনিক পরিবেশ কিভাবে সৃষ্টি করা যাবে, বিনোদনমূলক পরিবেশ কিভাবে সৃষ্টি করা যাবে, আমাদের ছেলে-মেয়েরা, ঢাকাবাসী যেন সাইকেল চালিয়ে-হেঁটে সেখানে ঘুরে বেড়াতে পারে, আমরা সেরকম ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
মেয়র আজ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ঢাকা সিটি ইউনিটের বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২০ ও ২০২১-২৩ মেয়াদে ইউনিট কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি যে কোন দুর্যোগে, যে কোন সমস্যায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। তাই দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিই দান-অনুদানের সর্বোত্তম জায়েগা।
মেয়র বলেন, ‘আমরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ঢাকা সিটি ইউনিটের কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে চাই। অর্থায়েনের অভাবে তারা অনেক কার্যক্রম নিতে পারেনি। সেজন্য যারা আর্ত-মানবতার সেবায় নিবেদিত হতে চান, তাদের সকলের প্রতি নিবেদন করব, আপনাদের যেকোন দান-অনুদান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে প্রদান করুন। কারণ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনগণের কাছ থেকে যে অর্থ পেয়ে থাকে তা সম্পূর্ণরূপে আর্ত-মানবতার সেবায়, মানুষের দুর্যোগে ব্যয় করা হয়, বিনষ্ট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেজন্য দান-অনুদানের সর্বোত্তম জায়গা হলো রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।’
মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সারা বছরই চলমান রাখার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমরা যে কোন সময়ের চেয়ে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম অত্যন্ত বেগবান করেছি। ফলে এ বছর ডেঙ্গুর কারণে কোন প্রাণহানি ঘটেনি।
রেড ক্রিসেন্টের আজীবন সদস্য হিসেবে যে কোন দুর্যোগে কাউকে ডাক দিয়ে নয়, স্বেচ্ছায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা স্বপ্রণোদিত হয়ে আর্ত-মানবতার সেবার লক্ষ্যে রেড ক্রিসেন্টের সদস্য হয়েছেন। সুতরাং এখানে যদি কেউ মনে করেন, আমাকে ডাকা হয়নি, আমি মূল্যায়িত হলাম না। সেটা কিন্তু ভুল ভাবনা হবে। এটা আপনাদের কর্তব্য, আপনাদের দায়িত্ব। আপনারা নিজ উদ্যোগেই আজীবন সদস্য হয়েছেন, তাই নিজ উদ্যোগেই এলাকার যে কোন দুর্যোগে, যে কোন সমস্যায় এগিয়ে আসবেন – সেটাই কিন্তু কাম্য।
ঢাকা জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের আজীবন সদস্য সংখ্যা ও কার্যক্রম বৃদ্ধির পরিকল্পনা জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আগামী বছরের মধ্যে এই সংখ্যা ৫ হাজারে নিয়ে যেতে চাই এবং আমাদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাজেট তিনগুণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ঢাকা সিটি ইউনিটের কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষ্যে মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডের সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল থেকে ১২ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ঢাকা সিটি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক লায়ন শরিফ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।