গ্রামীণ কৃষি ডেস্কঃ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা মহানগরীকে একটি আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি একটি ডাটা ব্যাংক তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, নগর স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদদের মতামত নিয়ে সমন্বিতভাবে এই বিশেষ পরিকল্পনা ও ন্যাশনাল ডাটা ব্যাংক তৈরি করা হবে। যা ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ)’র গাইড লাইন হিসেবে কাজ করবে। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ‘ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসম্যান্ট’ করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, ড্যাপ বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, নগর স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত গ্রহণ করতে হবে। কারণ সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এটি বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন।
তাজুল ইসলাম আজ মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের নেতাদের সঙ্গে ড্যাপ নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে যেসকল ভবন আছে এবং পরবর্তীতে যেসকল ভবন নির্মাণ করা হবে সে ভবনগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাস্তা রাখতে হবে। সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করে হাজার হাজার মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা করলে অবশ্যই রাস্তাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যে সকল খাল রয়েছে, সেগুলোকে পরিকল্পিতভাবে হাতিরঝিলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট হিসেবে উপযোগী করে তোলা হবে এবং দুই পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এতে রাজধানী অপরূপ দৃশ্য ধারণ করবে। বিনোদনের জন্য আর বিদেশ যেতে হবে না। এ লক্ষ্যে দু’টি প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
রাজধানী উন্নয়ন কতৃপর্ক্ষ (রাজউক)কে আরও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী, রাজউকের চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি জালাল আহমেদ, সাবেক সভাপতি ড. আবু সাঈদ, সহ-সভাপতি এহসান খান, রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম ও মো. আজহারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।