- সরকার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ পিএইচডি
শক্তি যোগায়:
শারীরিক অবসাদ দূর করার জন্য মোক্ষম পানীয় কফি। শরীর মন চাঙ্গা করতে এক কাপ গরম কফির বিকল্প নাই। কফিতে থাকা উপাদানের নাম ক্যাফেইন। ক্যাফেইন শরীরে উদ্যম ও উৎসাহ তৈরি করে। তাই খেলাধুলা কিংবা কঠিন কাজ করার আগে কফি খেলে উপকার পাবেন।
ওজন কমে:
ওজন কমাতে নির্ভর করতে পারেন কফির ওপর। কফি ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে এবং কর্মক্ষমতা বাড়ায়। সকালে জিম শুরু করার আগে এক কাপ ব্ল্যাক কফি খেলে শরীরের ক্যালরি ক্ষয় হয়। ফলে ওজন কমে।
কর্মক্ষমতা বাড়ে:
কফি কর্মক্ষমতা বাড়ায়। ক্যাফেইন রক্তের এপিনেফ্রিন বাড়িয়ে তোলে। ফলে কাজে উদ্যম বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে:
কফি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় ২৩ থেকে ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত। জটিল এই রোগের ঝুঁকির হাত থেকে বাঁচতে কফি খান নিয়মিত।
যকৃত সুরক্ষায়:
শরীরের কাজ পরিচালনায় যকৃতের ভূমিকা অপরিসীম। যারা দৈনিক চার কাপের বেশি ব্ল্যাক কফি পান করেন তাদের যকৃতের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি ৮০ ভাগ কমে যায়। কফি রক্তে যকৃতের ক্ষতিকর এনজাইম কমাতে সাহায্য করে।
হতাশা কমিয়ে প্রশান্তি আনে:
মানসিক চাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকেই। কি করবেন বুঝতে পারেন না। তখন এক কাপ কফি মানসিক ও শারীরিক প্রশান্তি দেবে। ফলে চাপের কারণে যেসব রোগ দানা বাঁধে শরীরে সেগুলো প্রতিরোধে সাহায্য করে কফি।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:
স্কিনক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবেও বেশ কার্যকরী কফি।ফলে ত্বক রক্ষা পায় ক্যান্সারের হাত থেকে।
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়:
নিয়মিত ব্ল্যাক কফি পান করলে অস্থায়ীভাবে রক্তচাপ বাড়লেও আবার ঠিক হয়ে যায়। দৈনিক দুই কাপ ব্ল্যাক কফি পান করলে স্ট্রোকসহ হৃদযন্ত্রের অন্যান্য সমস্যার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
প্রিয় পাঠক,আপনিও গ্রামীণ কৃষির অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন,স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন grameenkrishi2016@gmail.com – এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।