নিজস্ব প্রতিবেদক
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে সীমিত আকারে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে আটকে থাকা কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) ও মিশকাত (ডিগ্রি)-সহ সব পর্যায়ের পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি পেয়েছে কওমি মাদ্রাসা। তবে পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দিলেও একাডেমিক অন্যান্য কার্যক্রম চালুর অনুমতি দেয়নি সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসাগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিতে হবে।’
কওমি মাদরাসাগুলোর প্রতিনিধিরা কিতাব বিভাগের কার্যক্রম চালু ও পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ করে দিতে গত ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানান। কওমি মাদ্রাসার একটি বোর্ড জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড, বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল সেদিন সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে আবেদনপত্রটি পৌঁছে দেয়।
কওমি মাদ্রাসাগুলোকে পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দেয়া হলেও কিতাব বিভাগে ক্লাস চালুর অনুমতি দেয়নি সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, স্কুল, কলেজ খুলে দেয়া বা পিইসি, জেএসসি, এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর আগে দেশের সব হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও হিফজখানা ১২ জুলাই থেকে চালুর অনুমতি দেয় সরকার।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দেশের প্রায় ২২ হাজার কওমি মাদ্রাসার ২৫ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী গত শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারেনি। ঈদুল ফিতরের পর কওমি মাদ্রাসাগুলোর নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও করোনার কারণে তা স্থগিত রাখা হয়।