আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের এশীয় মিত্রদের কাছে ক্ষয়িষ্ণু সম্পর্ক সারিয়ে তোলা এবং পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিসমূহ পুনরায় নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার সিউল, সিডনি ও টোকিওর নেতৃবৃন্দের সাথে টেলিফোনে কথা বলেন বাইডেন। এর একদিন আগে ইউরোপীয় নেতৃবৃন্দকে আমেরিকা আগের অবস্থানে ফিরে আসছে বলে বাইডেন উল্লেখ করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন অস্ট্রেলিয়ার স্কট মরিসন, দক্ষিণ কোরিয়ার মুন জায়ে ইন এবং জাপানী নেতা ইয়াশিদে সুগার সাথে কথা বলেন। এ তিন নেতাই ইতোমধ্যে বাইডেনকে নির্বাচনে জেতার জন্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী বাইডেনের সাথে আলাপকালে এ অঞ্চলের মারাত্মক নিরাপত্তা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এ প্রেক্ষিতে জাপানের প্রতিরক্ষা বিষয়ে বাইডেন তার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
তার ট্রানজিশন টিম বলছে, এছাড়া বাইডেন উভয় দেশের কয়েকদশকের পুরনো চুক্তির বাধ্যবাধকতা বিষয়েও তার অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন ।
দক্ষিণ কোরিয়ার মুন জায়ে ইনের সাথে ১৪ মিনিটের পৃথক আলোচনায় বাইডেন উত্তর কোরিয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয় ব্লু হাউস থেকে বলা হয়েছে, ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব উভয় নেতা সাক্ষাত করতে সম্মত হয়েছেন।
এদিকে, অস্ট্রেলীয় নেতার সাথে আলোচনা কালে আগামী বছর উভয়দেশের মধ্যকার নিরাপত্তা চুক্তির ৭০ বছর পূর্তিতে বাইডেনকে সেদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বাইডেন প্যারিস চুক্তির অংশদীর হওয়া সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণশীল সরকারের ধীর গতির কথা তুলে ধরেন।
মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটিতে কয়েক দশকের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে জো বাইডেনের। এছাড়া, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এদিকে, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের সাথে তীব্র বাণিজ্যিক লড়াই, উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনকে কাছে টেনে এবং এশীয় অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের সম্ভাবনা প্রকাশ্যে তুলে ধরে এ অঞ্চলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সম্পর্ক টালমাটাল করে তোলেন।
ধারণা করা হচ্ছে এসব ক্ষেত্রে বাইডেন ট্রাম্পের দ্বন্দ্বপূর্ণ নীতি থেকে সরে দাঁড়াবেন।