শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
- বিজ্ঞাপন -
হোম আইন-আদালত উকিল নোটিশ কী? উকিল নোটিশ পেলে কি করতে হবে!

উকিল নোটিশ কী? উকিল নোটিশ পেলে কি করতে হবে!

প্রথমেই মনে রাখতে হবে, উকিল নোটিশ মানেই মামলা নয়। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে সাধারণত কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে কোনো নোটিশ পাঠানো হলে সেই নোটিশকে লিগ্যাল নোটিশ বা উকিল নোটিশ বলা হয়।

উকিল নোটিশ মামলা নয়, তবে মামলা-মোকদ্দমা করার পূর্বপ্রস্তুতি বলা চলে। একজন আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিপক্ষের বা অভিযুক্তের কাছে তাঁর অভিযোগ তুলে ধরা হয় উকিল নোটিশের মাধ্যমে। এ নোটিশ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হতে পারে। পারিবারিক বিষয়, জমিজমা থেকে শুরু করে আর্থিক বিষয়ে যেকোনো আইনি বিরোধ থাকলেই উকিল নোটিশ পাঠানো যায়। এ নোটিশে সাধারণত আইনজীবীর মাধ্যমে দাবিদাওয়া তুলে ধরা হয়। নোটিশে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় এবং অনুরোধ করা হয় এ সময়সীমার মধ্যে বিরোধের সমাধান করতে। না হলে কোন আইনে কীভাবে মামলা-মোকদ্দমা করবে, সে বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়।

কিছু উকিল নোটিশ আছে, যা মামলা করার আগে দেওয়া বাধ্যতামূলক। যেমন চেক ডিজঅনার-সংক্রান্ত উকিল নোটিশ অবশ্যই দিতে হয় প্রতিপক্ষকে।

নোটিশ পেলে কী করবেন?

কোনো আইনি নোটিশ পেলেই অস্থির না হয়ে সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যায়, সেটা ভাবতে হবে আগে। উকিল নোটিশ পেয়েই যদি বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান করা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে অনেক আইনি ঝামেলা ও ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

প্রথমেই আইনি নোটিশ পেলে দেখতে হবে এর বিষয়বস্তু কতটা যুক্তিসংগত এবং এর কোনো ভিত্তি আছে কি না। নোটিশে উল্লিখিত দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখতে হবে। যদি কোনো ধরনের ভিত্তি না থাকে কিংবা হয়রানি করার জন্য কেউ আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ পাঠান, তাহলে এর জবাব দিয়ে যুক্তি খণ্ডাতে হবে এবং প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে হবে।

একটি বিষয় জেনে রাখা খুব জরুরি যে আইনি নোটিশ পেয়ে কোনো আইনজীবীকে দোষ দিলে চলবে না। কারণ একজন আইনজীবী তাঁর মক্কেলের কাছ থেকে নির্দেশনা পেয়েই নোটিশ পাঠান। আইনজীবীর সত্য-মিথ্যা যাচাই করে নোটিশ দেওয়ার সুযোগ কম। তাই কোনো হয়রানিমূলক নোটিশ পেলে তার জবাব দিয়ে এর স্পষ্ট কারণ তুলে ধরা উচিত।

নোটিশের জবাব একজন আইনজীবীর মাধ্যমেই দেওয়া উচিত। যদি নোটিশে উল্লিখিত অভিযোগের সত্যতা থাকে, তাহলে এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে নিতে পারেন।

নোটিশটি যদি পারিবারিক বিষয় হয়, তাহলে আলোচনা করেই মিটিয়ে ফেলা উচিত অনেকেই দেখা যায় উকিল নোটিশ পেলে ডাকপিয়নের কাছ থেকে গ্রহণ করতে চান না। এতে মাঝেমধ্যে উল্টো ফলও হতে পারে। কারণ নোটিশ আপনি গ্রহণ করেন আর না-ই করেন, আইনের ব্যাখ্যায় নোটিশটি ঠিকঠাক প্রেরণ করা হয়েছিল তা অনেক সময় প্রমাণ হয়ে যায়।

নোটিশ গ্রহণ না করলে প্রকৃত দাবি বা অভিযোগ সম্পর্কে জানাও যায় না এবং মামলায় যাওয়ার আগে নিষ্পত্তির সুযোগও কমে আসে।

 

 

আপনার মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

লালমনিরহাটে আলু-পেঁয়াজ-সবজির বাজারে স্বস্তি

জেলার বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি, আলু ও পেঁয়াজের দামে স্বস্তি ফিরেছে। সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব পণ্যের কেজি প্রতি দাম কমেছে ২০ টাকা থেকে...

তরুণদের সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশের চিত্র পাল্টে যাবেঃ বিএনপি মহাসচিব 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তরুণ প্রজন্ম আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত। তাদের মেধা শক্তি অনেক ভালো। তরুণদের...

সোমবার ট্রাম্পের জাঁকজমকপূর্ণ প্রত্যাবর্তন

ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী সোমবার দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। ৭৮ বছর বয়সী এই রিপাবলিকান নেতা ওয়াশিংটনের ইউএস ক্যাপিটলে...

কৃষিতে নারীশ্রম, ফসলে চওড়া হাসি

অগ্রহায়ণ শেষে পৌষের আগমন। প্রকৃতিতে ইতোমধ্যে শীতের দাপট। আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের মৌসুম শেষ। এখন চলছে নানা ধরনের শাক-সবজি আর শস্য...

Recent Comments